সকল প্রসংসা আল্লাহ তায়ালার জন্য যিনি অত্যান্ত দয়ালু মেহের বান ।হাজার দরুদ সেই মহামানব প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মাদ মুস্তফা(সা:)এর প্রতি । আমাদের জীবন চলার পথে প্রতিনিয়ত শয়তান আমাদের ধোকায় ফেলে থাকে । গোনাহের কাজ সহ অসামাজিক কর্ম কান্ড করিয়েও থাকে ।কখনো আবার আমরা নেক কাজ করে থাকি কিন্তু তার পরিমান নেহায়াত সামান্য হয়ে থাকে ।
জিকির অর্থ
জিকিরের শাব্দিক অর্থ স্মরণ করা জিকির দ্বারা আমরা আল্লাহর স্মরণকে বুজে থাকে জিকির মানে নামাজ ও বুঝায় কারণ এই নামাজ দ্বারা আল্লাহর স্মরণ করা হয়।
কাজেই নামাজ সবচেয়ে বড় জিকির আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে তার স্মরণ বা জিকির করার তৌফিক দান করুন আজ আমরা জিকিরের ফজিলত ও আমল সম্পর্কে আলোচনা করব ।
জিকিরের ফজিলত
জিকিরের ফজিলত একশত এর উপরে আছে রাসূল সাঃ বলেন তোমরা কি কর এমন ভাবে লোকে যেন তোমাদেরকে পাগল মনে করে কারণ পাগলের পাগলামি করতে যেমন হুশ থাকে না ঠিক তেমনি জাকেরিন আল্লাহর জিকিরে মজবুত থাকে মনে হয় শেখ পাগলামি করছে ।
সকাল সন্ধ্যার দোয়া ও জিকির:
- আয়াতাল কুরসি পাঠ করা
- সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত পাঠ করা
- সুরা ইয়াসিন তেলাওয়াত করা
- তিন কুল পাঠ করা (সূরা ইখলাস ফালাক ও না নাছ )
- রদিতু বিল্লাহি রব্বাও ওয়াবিল ইসলামা দিনাও ওয়াবি মুহাম্মাদিন নাবিয়্যা (সা:)।
- অর্থ : আল্লাহ আমার প্রভু, ইসলাম আমার ধর্ম এবং মুহাম্মদ (সা.) আমার নবী
- হওয়ায় আমি সন্তুষ্ট আছি।
- সুবহানাল্লাহ – ৩৩ বার
- আলহামদুলিল্লাহ – ৩৩ বার
- আল্লাহু আকবার – ৩৪ বার
সন্ধ্যার দোয়া ও জিকির:
- আয়াতাল কুরসি পাঠ করা
- সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত পাঠ করা
- আল্লাহুম্মা আজিরনি মিনান্নার সাতবার পাঠ করা
- রদিতু বিল্লাহি রব্বাও ওয়াবিল ইসলামা দিনাও ওয়াবি মুহাম্মাদিন নাবিয়্যা (সা:)।
- সূরা ওয়াকিয়া পাঠ করা
- সূরা সিজদা পাঠ পাড়া
- সুবহানাল্লাহ – ১০০ বার
- আলহামদুলিল্লাহ – ১০০ বার
- আল্লাহু আকবার – ১০০ বার
- লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ– ১০০ বার
- আল্লাহ– ১০০ বার
জিকির সম্পর্কে কোরআনের আয়াত
হাদীসের ভাষায় বলা হইয়াছে যে প্রতিটি মানুষের দেহে এমন একটি শুন্যতা আছে যা জিকির ব্যতিত পূর্ণ হয় না ।কিছু কিছু খাছ জিকির ওলিগণ করে থাকেন সাধারনত আমরা আল্লাহর ছিফাতি(গুন বাচক)নামের জিকির করে থাকি ।যেমন-ইয়া রহমান,ইয়া-রহিম,ইয়া-কারিম ইত্যাদি আল্লাহ হচে্ছ তার জাতি নাম ।এসকল গুনবাচক ও জাতি নামের অত্যাধিক জিকির করা উচিৎ যাতে শয়তান আমাদের কলবে ওসওয়াসা(কুমন্ত্রণা) না দিতে পারে ।
আল্লাহর সবচেয়ে প্রিয় জিকির
হাদীসের ভাষায় বলা হইয়াছে যে প্রতিটি মানুষের দেহে এমন একটি শুন্যতা আছে যা জিকির ব্যতিত পূর্ণ হয় না ।কিছু কিছু খাছ জিকির ওলিগণ করে থাকেন সাধারনত আমরা আল্লাহর ছিফাতি(গুন বাচক)নামের জিকির করে থাকি ।যেমন-ইয়া রহমান,ইয়া-রহিম,ইয়া-কারিম ইত্যাদি
আল্লাহ হচে্ছ তার জাতি নাম বা ইসমে আজম (আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এর জাতি নাম)শ্রেষ্ঠ জিকির ।এসকল গুনবাচক ও জাতি নামের অত্যাধিক জিকির করা উচিৎ যাতে শয়তান আমাদের কলবে ওসওয়াসা(কুমন্ত্রণা) না দিতে পারে ।
এ প্রসঙ্গে হুজুর(সা:) আরো বলেন,তোমরা এত বেশী বেশী আল্লাহর জিকির করিতে থাক যেন লোকে তোমাকে পাগল বলিতে থাকে ।অন্যত্র বলা হইয়াছে যে,এত বেশী জিকির করিতে থাক যেন মোনাফেকগন তোমাকে রিয়াকার বলিয়া আখ্যা দেয় ।
শেষ কথা :
আসুন আমি আপনি আমরা সবাই আল্লাহর জিকিরে মশগুল হই ।যেন চিরশত্রু শয়তান ধোকায় না ফেলে আযাবের ঠিকানায় নিয়ে না যায় ।আল্লাহ আমাকে এবং সমস্ত মুসলিম ভাই-বোনদের তাওফিক দান করুন।
সাথে সাথে তাহার পূণ্যশীল বান্দাদের উছিলায় সতকাজ করার ও তাহাদের অনুসরন করার তওফীক দিন।দ্বীনের প্রচার ও প্রসারের জন্য আমাকে কবুল করুন এবং জ্ঞান দার করুন,আমীন-ছুম্মাআমীন।
সালাত আদায়ের গুরুত্ব ! সালাতুল হাজত নামাজের নিয়ম জানুনঃ
FAQ:প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী:
প্রশ্ন: শ্রেষ্ঠ জিকির কী?
উত্তর: সর্বশ্রেষ্ঠ জিকির হলো "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ"। হাদীসে এসেছে, এটি সর্বোত্তম যিকির এবং জান্নাতের চাবিকাঠি।
প্রশ্ন: সর্বোত্তম জিকির কোনটি?
উত্তর: হাদীস অনুযায়ী, নবী করিম (সা.) বলেছেন, "সর্বোত্তম যিকির হলো 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ'"। এটি ঈমানের মূল এবং আল্লাহর সন্তুষ্টির পথ।
প্রশ্ন: সর্বদা জিকিরের ফজিলত কী?
উত্তর: যারা সর্বদা জিকির করে, তাদের হৃদয় থাকে আল্লাহর স্মরণে পরিপূর্ণ। আল্লাহ বলেন, "যারা আমাকে স্মরণ করে, আমি তাদের স্মরণ করি" (সূরা বাকারা: ১৫২)। সর্বদা জিকির করলে মন শান্ত থাকে এবং জান্নাতের পথ সুগম হয়।
প্রশ্ন: 'ইয়া আল্লাহ' জিকিরের ফজিলত কী?
উত্তর: "ইয়া আল্লাহ" একটি শক্তিশালী দোয়া ও জিকির। এটি উচ্চারণ করলে আল্লাহর রহমত ও করুণা লাভ হয়। এটি দুঃখ-কষ্টে আরামের জিকির এবং আত্মার প্রশান্তি লাভের উপায়।
প্রশ্ন: সবচেয়ে দামি জিকির কোনটি?
উত্তর: সবচেয়ে দামি জিকির হলো সেই যিকির যা একাগ্রতার সাথে হৃদয় দিয়ে করা হয়। তাফসীর ও হাদীস অনুযায়ী, "সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি, সুবহানাল্লাহিল আজীম" — এই জিকির দুইটি বাক্য, যা আল্লাহর কাছে অত্যন্ত প্রিয় ও ওজনদার।