marquee

“সুবহানাল্লাহ ওয়াল হামদুলিল্লাহ ওয়া লা-ইলাহা ইলল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবার”

folas

Complete Success Of everybody In Dunia And Akhirat is barely In Following The Orders Of Allah per The means Shown By Rasulullah Sallallahu Alaihi Wa Sallam

তোমরা সর্ব শ্রেষ্ঠ জাতি। মানুষের মঙ্গলের জন্যই তোমাদিগকে বাহির করা হইয়াছে :

লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ(সা:)






তোমরা সর্ব শ্রেষ্ঠ জাতি। মানুষের মঙ্গলের জন্যই তোমাদিগকে বাহির করা হইয়াছে। তোমাদের শ্রেষ্ঠত্বের কারণ এই যে, তোমরা সত কাজের আদেশ করিয়া থাক ও অসত কাজে বাধা প্রদান করিয়া থাক এবং আল্লাহর উপর ঈমান আনিয়া থাক।‍       -(আল-ইমরান: ১১০)

 

মুসলমান যে সর্বশ্রেষ্ঠ জাতি এবং সেরা উম্মত বহু হাদীছের দ্বারা উহা প্রমাণীত হইয়াছে,কোরআন পাকেও বিভিন্ন আয়াতে উহার উল্লেখ আছে।উল্লেখিত আয়াতেও মুছলমানগণকে শ্রেষ্ঠ উম্মাত বলিয়া ঘোষণা করা হইয়াছে এবং তাহাদের শ্রেষ্ঠত্বের কারণ ও বর্ণনা করা হইয়াছে। উহা এই যে,আমরে বিল মা‍‌‌’রুফ,নেহী আনিল মোনকার অর্থাত সতকাজের আদেশ ও অসত কাজের নিষেধ।

ঈমানের তিনটি স্তর :

 

নবী হজরত মুহাম্মাদ (সা:)এরশাদ করেন,যে ব্যক্তি কোন অন্যায় কাজ হইতে দেখে তবে শক্তি থাকিলে উহাকে হাতের দ্বারা বন্ধ করিয়া দিবে। আর যদি এতটুকু শক্তি না থাকে তবে মুখের দ্বারা বন্ধ করিবে।আর উহাও সম্ভব না হইলে অন্তরে উক্ত কাজকে ঘৃনা করিবে।(অথবা উহা বন্ধ হওয়ার জন্য অন্তর দ্বারা দোয়া করিবে)এবং ইহা ঈমানের সর্ব নিন্মস্তর।

অন্য হাদিছে আছে,যদি অন্তরে ইহাকে ঘৃনা করিল তবুও দায়িত্ব হইতে মুক্তি পাইল।অন্য হাদিছে বলা হইয়াছে,যে ব্যক্তি অন্তরে উহাকে ঘৃণা করিল সে ঈমানদার বটে, কিন্তু তার চেয়ে নিন্মস্তরে কোন ঈমান নাই।–(মুছলিম,তিরমিজী)অতএব,হুজুর পাক (সা:) এর পবিএ বাণির সহিত আমরা সবাই নিজ নিজ অবস্থা একটু যাচাই করে দেখি যে,আমি নিজে অথবা আমরা কতজন আছি যে,অন্যায় কাজ হইতে দেখলে উহাকে হাত দ্বারা বন্ধ করিবার চেষ্টাকরি অথবা মুখ দ্বারা উহাকে অন্যায় বলে প্রকাশ করি। কমপক্ষে অন্তরে অন্তরে দুর্বল ঈমানদার হিসেবে ঘৃণা করি।

আমাদের সমাজে অহরহ কত অন্যায় কাজ হতে দেখা যায়, কিন্তু কয়জন আছে তার মোকাবেলা করে।যারা ক্ষমতাবান তারাও তো এগিয়ে আসছে না।আর সাধারণ মুসলমানের কথাত নাই বল্লাম।এর মূল কারন হলো ঈমান।যার যত ঈমান পাকা সে ততো ঈমানের বলে বলিয়ান হয়ে অন্যায়ের মোকাবিলা করতে পারে।এমতাবস্থায় আমাদের সবার উচিত ঈমান কে তরু তাজা করতে থাকা।যাতে ঈমানের উক্ত তিন শাখার প্রথমে থাকা যায়। অন্তত দ্বিতীয় শাখায় যেন থাকতে পারি তার জন্য প্রাণপন চেষ্টা করা চাই।দুর্বল ঈমানদারের কাতারে না থাকি।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাহার অনন্ত অসীম রহমতের মাধ্যমে আমার মন্দ কাজ সমূহ গোপন রাখুন এবং নেক কাজ করার তওফীক দান করুন।সাথে সাথে তাহার পূণ্যশীল বান্দাদের উছিলায় সতকাজ করার ও তাহাদের অনুসরন করার তওফীক দিন।দ্বীনের প্রচার ও প্রসারের জন্য আমাকে কবুল করুন এবং জ্ঞান দার করুন,আমীন-ছুম্মাআমীন।