সকল প্রসংসা আল্লাহ তায়ালার জন্য
যিনি অত্যান্ত দয়ালু মেহের বান ।হাজার দরুদ সেই মহামানব প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মাদ মুস্তফা(সা:)এর
প্রতি ।আমাদের চার পাশে যারা বসবাস করে তারাই মুলত আমাদের প্রতিবেশী ।তাদের সাথে সদাচরণকরা আমাদের উচিৎ বলা যায় তারাই আমাদের সুথের বা দুখের প্রত্যক্ষ-পরক্ষ সাথী ।
হাদিসের ভাষ্য মতে প্রত্যেকের
বাড়ীর চার পাশে চল্লিশ বাড়ীর সবাই প্রতিবেশীর অর্ন্তভূক্ত হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু
আলাইওয়াসাল্লাম বলেন-“ আবু হুরায়রা(রা:) থেকে বর্ণিত-রাসূলুল্লাহ্(সা:) বলেছেন,যে ব্যক্তির
অত্যাচার থেকে তার প্রতিবেশী নিরাপদ নয় সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না । (সহী মুসলিম)”
“আল্লাহর কসম সে মুমিন নয়, আল্লাহর কসম সে মুমিন নয়, আল্লাহর কসম সে মুমিন নয় ।” সাহাবায়ে
কিরামগণ আরজ করলেন, ইয়া রাসুলুল্লাহ(সা:),কে মুমিন নয়?হুজুর(সা:) বলেন-যার অনিষ্ট থেকে
তার প্রতিবেশী নিরাপদ নয় ।(সহী মুসিম)
হুজুর(সা:)আরো বলেন-“যে ব্যক্তি
তার প্রতিবেশীকে ক্ষুধার্ত রেথে নিজে পেট পুরে আহার করে,সে প্রতৃত মুসলমান নয় ।” পরিবারের
সদস্যদের পরেই প্রতিবেশীদের হক আমাদের উপর ।তারাই বিপদে-আপদে,দু:খ-কষ্টে,অসুখ-বিসুখে
কাছাকাছি থাকে সুপরামর্শ প্রদান করে কখনো
টাকা পয়শা ও দিয়ে সাহায্য করে থাকে ।তাদের সাথে প্রত্যেকে যেন আত্নার এক টান হয়ে যায়
,যা পরবর্তিতে কখনো কখনো আত্নীয়তায় যেয়ে শেষ হয় ।
প্রতিবেশীর সুখে-দু:খে আমাদের
সমব্যথী হতে ইসলাম নির্দেশনা দিয়ে থাকে এবং সাধ্যমত যারা গরিব প্রতিবেশী তাদের আর্থিক
সাহায্য করা কর্তব্য বলে নির্দশ দান করে ।প্রতিবেশী যদি খারাপ স্বভাবেরও হয় তথাপি তার
সাথে সদাচারণ করতে হবে, যেন তারা অন্ত্যত আমার দ্বারা কষ্ট না পায় ।সৎ ও উত্তম চারিত্রিক বৈশিষ্ট দিয়ে তাদের সাথে লেন-দেন
কথা-বার্তা সহ সামাজিক জীবন যাপন করতে হবে ।
মনে রাখতে হবে কোন প্রকারে আমাদের
আচারণে প্রতিবেশী যেন কষ্ট না পায় সে দিকে খেয়াল রাখা চাই ।অন্যথায় আমাদের নামাজ,রোজা,হজ্জ,সদকা
কোন কাজে আসবে না প্রতিবেশীর হক আদায়ের মোকাবেলায় ।প্রত্যেক মুমিনের উপর তার প্রতিবেশীর
ছয়টি হক থাকে তার মধ্যে সদাচারণ (উত্তম ব্যবহার) ও একটি ।
হুজুর(সা:)এর নিকট একজন মহিলার
কথা পেশ করা হলো যে নামাজ,রোজা সহ সবধরনের ইবাদত বন্ধগী করেন, কিন্তু সে তার প্রতিবেশীকে
কষ্ট দিয়ে থাকে । হুজুর(সা:)বলেন-উক্ত মহিলা জাহান্নামে যাবে ।নামাজ,রোজাও তার কোন
কাজে আসবে না প্রতিবেশীকে কষ্ট দেয়ার দরুন ।অতত্রব আমাদের প্রত্যেকের উচিৎ যার যার
প্রতিবেশীর হকের প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখা, যাতে করে কাল কিয়ামতের ময়দানে আসামীর কাতারে
দারাতে না হয় ।
আল্লাহ আমাকে এবং সমস্ত মুসলিম
ভাই-বোনদের তাওফিক দান করুন।সাথে সাথে তাহার পূণ্যশীল বান্দাদের উছিলায় সৎকাজ করার
ও তাহাদের অনুসরন করার তওফীক দিন।দ্বীনের প্রচার ও প্রসারের জন্য আমাকে কবুল করুন এবং
জ্ঞান দান করুন,আমীন-ছুম্মাআমীন।