সকল প্রসংসা আল্লাহ তায়ালার জন্য
যিনি অত্যান্ত দয়ালু মেহের বান ।হাজার দরুদ সেই মহামানব প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মাদ মুস্তফা(সা:)এর
প্রতি ।আসছে আগামী ৮ই জানুয়ারী শুরু হবে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব ।দেশের প্রায় ২৩টি
জেলার ধর্ম প্রান তাবলিগ জামায়াতের সাথীগণ এবং সাধারণ মুসল্লিগণ অংশ গ্রহন করবেন ।প্রথম
এই পর্বে দেশবিদেশর প্রায় ২০লাখেরও বেশী ধর্ম প্রান মুসলমান উপস্হিত হবেন ।মানুষের
এই মহাসমাবে হবে সুশৃঙ্খল প্রশিক্ষনের বহিপ্রকাশ ।থাকবে আদব,পরপকারিতা এবং চরম ধৈর্য্যের
মত মহৎ গুনের চোখে পরার মত উদাহরন ।কি ভাবে সমস্ত দুনিয়ার মানুষ এক আল্লাহকে রব হিসেবে
চেনে,জানে ও মানতে পারে এবং ইসলামের মধ্যে পুরোপুরি দাখিল হতে পারে তার শিক্ষা দেওয়া
হবে ।সাথে সাথে নামাজ,রোযা,হজ্জ ও যাকাতের মত বুনিয়াদী রুকন যাতে আদায় করতে পারে তার
অনুপ্রেরনাও দেওয়া হবে ।পবিত্র,পরিছন্ন,সদাচারণ জীবন যাপনের দীক্ষা পাবেন তারা।
মহান ও মহতি এক কাজ দাওয়াত ও
তাবলিগ জামাতের প্রতিষ্ঠাতা হযরত ইলিয়াস শাহ(রহ:) দ্বীন ইসলাম প্রতিষ্ঠার যে আন্দোলনের
কার্য্যক্রম চালু করে গেছন তারই ধারাবাহিকতার সফল উপস্থিতি আজকের বিশ্ব ইজতেমা ।আল্লাহ
তায়ালার বাণী-“এবং তোমাদের মধ্যে এমন একটি জামায়াত থাকা উচিৎ যাহারা মঙ্গলের দিকে আহবান
করেব ।অথাৎ সৎ কাজের আদেশ করবে এবং অসৎ কাজের নিষেধ করবে এবং উহারাই সফলকাম জামাত ।(আল
ইমরান-১০৪)”বিশ্বের সকল মানুষ কিভাবে আল্লাহ্ তায়ালার আনুগত্য করে নবী মুহাম্মাদ(সা:)এর
প্রদর্শিত পথে চলতে পারে ও কামিয়াবী অর্জন করতে পারে দুনিয়া ও আখিরাতে ।তারই এক প্রশিক্ষন
বিশ্ব ইজতেমার মাঠে সারা বছরের জন্য সূচনা করা হবে ।মহল্লার প্রতিটি মসজিদ যাতে এক
একটি দ্বীনের দাওয়াতের মারকাজ হয়ে যায় তার প্রতি নির্দেশনা থাকবে ।
ব্যক্তি আমলকে যাতে শক্ত ভীতে
দ্বার করানো যায় পরিবার সমাজ ও রাষ্ট্র এবং বিশ্বের মানুষ সত্য ধর্ম ইসলামের সুশীতল
ছায়ায় স্থান পায় তার ফিকির ও মেহনতেই মুলত এই ৩দিন কেটে যাবে ।নিজ নিজ জান ও মাল দ্বারা
দ্বীনের এই বিশাল খেদমত নজির বিহিন এক দৃষ্টান্ত ।মহান আল্লাহর ইরশাদ-“ হে মু’মিনগণ!
আমি কি তোমাদের এমন এক বাণিজ্যের সন্ধান দিব যাহা তোমাদেরকে রক্ষা করবে মর্মন্তূ শাস্তি
হতে ? উহা এই যে,তোমরা আল্লাহ্ ও তাহার রাসূলে বিশ্বাস স্হাপন করে এবং তোমাদের ধন-সম্পদ
ও জীবন দ্বারা আল্লাহর পথে জিহাদ করিবে । ইহাই তোমাদের জন্য শ্রেয় যদি তোমরা জানিতে
?আল্লাহ্ তোমাদের পাপ ক্ষমা করিয়া দিবেন এবং তোমাদের দাখিল করিবেন জান্নাতে যাহার পাদদেশে
নদী প্রবাহিত,এবং স্হায়ী জান্নাতের উত্তম বাসগৃহে ।ইহাই মহাসাফল্য ।(সুরা আস সাফ্ফ
১০-১২)”ঈমানি বলে বলিয়ান ধর্ম প্রান মুসলমানরা তাই প্রতি বছরে মিলিত হন যেন এক মহা
মিলন মেলায় পরিণত হয় বিশ্ব মুসলিম ।
আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন তাহার
অনন্ত অসীম রহমতের মাধ্যমে আমার মন্দ কাজ সমূহ গোপন রাখুন এবং নেক কাজ করার তওফীক
দান করুন।সাথে সাথে তাহার পূণ্যশীল বান্দাদের উছিলায় সৎ কাজ করার ও তাহাদের অনুসরন
করার তাওফীক দিন।দ্বীনের প্রচার ও প্রসারের জন্য আমাকে কবুল করুন এবং জ্ঞান দান করুন,আমীন-ছুম্মাআমীন।